*মামলা হলেও প্রভাবশালী হওয়ায় আটক হয়নি গৃহকর্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি :
ফেনীতে গৃহকর্ত্রীর গরম পানিতে পিঠের দগ্ধ ক্ষত নিয়ে ফেনী হাসপাতালে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে শিশু গৃহকর্মী আমেনা আক্তার (১০)। গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই শিশু গৃহকর্মীকে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (১০ জুলাই) ফেনী সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল ও পারিবারিক সুত্র জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় ফেনী শহরের হাসপাতাল সড়কের একাডেমি নুরীয়া মসজিদের সামনের এক শিশুকে কান্নাকাটি করতে দেখেন জনৈক পথচারী মিজানুর রহমান। তিনি শিশুটির কান্নার কারণ ও পিঠের দগ্ধ ক্ষত দেখে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। শিশুটি কিছুটা মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় সে তার বাবা-মা ও বাড়ির ঠিকানা বা অন্য কারো নাম বলতে পারেনি।
হাসপাতালে ভর্তির পর শিশুর পিঠের দগ্ধ ছবিসহ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি শুরু হয়। ইতিমধ্যে তার পরিচয় পাওয়া গেছে। কিন্তু শিশু গৃহকর্মী আমেনা এখনো কোথায়, কিভাবে এবং কারা তার শরীর গরম পানি দিয়ে ঝলসে দিয়েছে এবং কতদিন আগে ঘটনাটি ঘটেছে তাও বলতে পারেনি।
তার নাম আমেনা আক্তার (১০)। বাবার নাম আবুল কাশেম, মায়ের নাম শেফালী বেগম। বাড়ি ফেনীর পরশুরামের বিলোনীয়া এলাকায়। তার বাবাও কিছুটা মানষিক রোগী। দারিদ্রতাসহ বিভিন্ন কারনে শিশু আমেনার বাবা-মার মধ্যে সম্পর্ক ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।
শিশু আমেনার ফুফু টুনি বেগম জানায়, গত ১৭ ফেব্রয়ারি ফেনীর একাডেমি এলাকার নূরানী মসজিদের পেছনের আফরোজা ভবনের মালিক আফরোজা বেগম শিশু আমেনাকে তার (টুনি বেগম) মাধ্যমে দত্তক নেয়। পরে শিশুটিকে আফরোজা বেগম তাঁর ননদ সর্ম্পকীয় একজনের ঢাকার বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
তবে শনিবার সন্ধ্যায় ওই শিশু আমেনা কিভাবে সড়কে বেরিয়ে আসে তাও জানা যায়নি।
কিন্তু টুনি বেগমও বলতে পারেনি শিশুটি কোন বাসায় এ নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তবে শিশু আমেনা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জানাজানি হলে আফরোজা বেগম বাসায় তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগমকে আসামী করে গতকাল সোমবার শিশু আমেনার ফুফু টুনি বেগম ফেনী সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি দায়ের করেছেন। তবে গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম প্রভাবশালী হওয়ায় আটক হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পুলিশ জানায়, আফরোজা বেগম পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অসীম কুমার সাহা শিশু আমেনার পিঠে গরম পানির দগ্ধ ক্ষত নিয়ে ভর্তি হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ক্ষত ৩-৪ মাস আগের। ইতিমধ্যে অনেক অংশ ভাল হয়েছে। সামান্য অংশে এখনো ক্ষত রয়েছে। হাসপাতালে প্রযোজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা চলছে। সহসাই সে ভাল হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী শিশু আমেনার পিঠে গরম পানিতে দগ্ধ ক্ষতের ঘটনায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শিশু আমেনা কিছু জানাতে না পারলেও গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগমকে গ্রেপ্তার করার পর সবই জানা যাবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”
- » ফরহাদনগরে ছাত্রদল নেতা জিয়া উদ্দিনের ভয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে পথে ঘুরছে বৃদ্ধা দুই অসহায় বোন
- » বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটির পরিচিতি ও শিক্ষার মানোন্নয়নে সভা
- » বাম গণতান্ত্রিক জোটের ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের রোডমার্চ ফেনী ছাড়লো- দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত
- » সাপ্তাহিক ফেনী সংবাদ এর প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত